আপনি হৃদরোগে ভুগছেন ? অথবা এর ঝুঁকি নিয়ে চলছেন তা জানতে
নিম্নলিখিত লক্ষণগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে নিন।
চিকিৎসার জন্য সমস্যা নম্বরগুলি উল্লেখ করে আজ ই-মেইল করুন অথবা ফোনে যোগাযোগ করুন- ০১৭১৬-৬০৬৩৫৫, ০১৯১৭-২১১২৫৯ । ওষুধ আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
হৃদরোগ সমস্যা – ১ : হৃদপিন্ডের রক্তাধিক্য, হৃৎপিন্ডের বিবৃদ্ধি, সজোরে হৃদস্পন্দন হয়। হৃৎপিন্ডে চর্বি জমে এবং একটু পরিশ্রমে করিলেই বুক ধড়ফড় করে। স্টার্ণম অস্থির নীচে ভারী কোন পদার্থ চাপাইয়া রাখা বোধ, তজ্জন্য চলিতে কষ্ট, থাকিয়া থাকিয়া হঠাৎ হৃৎপিন্ডের কম্পন ইত্যাদি লণগুলি নির্দিষ্ট। রোগী মনে করে চলা বন্ধ করিলে বুক ফাটিয়া রক্ত বাহির হইবে।
হৃদরোগ সমস্যা-২ : হৃদপিন্ডের ক্রিয়া বিকার জনিত এবং যান্ত্রিক পীড়ায় সমস্যা, হৃদপিন্ডের ভয়ংকর স্পন্দন, টাটানি বেদনা। প্রথমে বামদিকে আরম্ভ হইয়া ডানদিকে যায়, আবার বাম দিকে ফিরিয়া আসে। পরিশ্রমে, চলাফেরা করিলে বা নিঃশ্বাস গ্রহণে উহার বৃদ্ধি। স্পন্দন ঠিক রাখিবার জন্য হৃদপিন্ডকে চাপা দিতে, বামদিক চাপিয়া শয়নে ইচ্ছা, ফুসফুসেও ঐরূপ বেদনা, পরিশ্রমে বৃদ্ধি, হৃদপিন্ডের এবং ফুসফুসের এবং ফুসফুসের শিরা ও ধমনীর রক্তাধিক্য ও বেদনা। দীর্ঘ নিঃশ্বাস সইতে চায়, পারে না। কাশির পরে রক্ত রেখাযুক্ত বমন।
হৃদরোগ সমস্যা-৩ : রোগীর বুক ধড়ফড় করে, হৃদপিন্ডের শব্দ শুনিতে পায়। বামপার্শ্বে ফিরিলে, হৃদপিন্ডের প্রতিবারে সংকোচনে হৃদগহ্বরে সূচী বিদ্ধবৎ বেদনা। সামান্য পরিশ্রমে বা কাশিলে প্রবল বুক ধড়ফড়ানি, হৃদপিন্ডের বিবর্ধন। হৃদরোগ জনিত হাঁপানি। হৃদপিন্ডের বিবৃদ্ধি জনিত শোথ।
হৃদরোগ সমস্যা-৪ : হৃদপিন্ডের বিবৃদ্ধি, তজ্জন্য অত্যন্ত বুক ধড়ফড়ানি, তাহার সহিত হাঁপানির মত টান ও শ্বাসকষ্ট হয়।
হৃদরোগ সমস্য-৫ : উচ্চ ধ্বনিতে কাশির সৃষ্টি হয়। গলদেশে যেন এক খন্ড চুল পড়িয়াছে। সেজন্য শ্বাসরুদ্ধকর কাশি। শ্বাসকৃচ্ছতা। বুক ধড়ফড়ানি, কম্পন, গাত্রতাপের অল্পতা সত্ত্বেও খোলা বায়ু সেবনের ইচ্ছা। ওষ্ঠদ্বয়ের নীলাভা। জানু হইতে পদতল পর্যন্ত এবং হাতের কনুই পর্যন্ত শীতল হওয়া সত্ত্বেও ঠান্ডা জিনিসের প্রতি আকাঙ্খা। রোগী ডানদিকে শুইতে পারে না। কারণ উহাতে হৃৎস্পন্দনের অত্যন্ত বৃদ্ধি হয়। অনেক ঔষধই আছে কিন্তু ডান পার্শ্বে শয়নে হৃৎস্পন্দনের বৃদ্ধিযুক্ত ঔষধ দু¯প্রাপ্য। ইহা আশ্চর্য লণ। ডান পার্শ্বে চাপিয়া শুইয়াছিল বলিয়া তাহাকে উঠিয়া হাঁটিতে হয় রোগী বলে যে ডান পার্শ্বে শুইলে তাহার পা হইতে মাথা পর্যন্ত দপদপ করে। বুকের মধ্যে ছোট স্থানে বেদনা। হৃদশুল রাত্রে বৃদ্ধি। সামান্য মনের আবেগে অথবা হঠাৎ পেশী সঞ্চালনে ভীষণ বুক ধড়ফড়ানি। বুক ধড়ফড়ানির উপশমের জন্য হৃদপিন্ডের উপর হাত দিয়া চাপিয়া ধরিতে বাধ্য হয়। হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া অনিয়মিত এবং সবিরাম। অম্লপিত্ত ও অজীর্ণতাজনিত হৃৎস্পন্দনে ইহা বিশেষ উপকারী। গাড়ী চড়িবার সময় বুক ধড়ফড়ানি এবং উৎকণ্ঠার জন্য গাড়ী হইতে নামিয়া হাঁটিয়া চলিতে বাধ্য হয় এবং সে হাঁটাও অত্যন্ত দ্রুত।
হৃদরোগ সমস্য-৬ : হৃদপিন্ডের বিবৃদ্ধি জনিত পীড়ায় আয়োডিন উপযোগী, সেই সঙ্গে প্রায় বুক ঘড়ফড়ানি থাকে এবং উহা কায়িক পরিশ্রমে বাড়ে। (কাল রঙের লোক এবং চুল ও চোখ যাহাদের কাল তাহাদের পীড়ায় আয়োডিন উপকারী) সময়ে সময়ে রোগী মনে করে কে যেন হৃদপিন্ড চাপিয়া ধরিয়া রহিয়াছে, অথবা বে খালি ভাব বোধ করে, মুখে কথা ফোটেনা ও কথা কহিলে যেন ভির্মী লাগে।
হৃদরোগ সমস্য-৭ : প্রস্রাবে পুঁজ শ্লেষ্মা নির্গমন, প্রস্রাবে অত্যন্ত কুটু ঝাঁঝাল গন্ধ, জ্বালা, ইউরেথ্রার মুখে সুঁচ ফোটানোবৎ ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব, এই সকল লণসহ হৃৎপিন্ডের চারিদিকে বেদনা ও অত্যন্ত বুক ধড়ফড়ানি থাকিলে ইহা হৃদপিন্ডের পীড়ায় সকল ঔষধ অপো উপকারী।
বৃদ্ধদের হৃদপিন্ডের দূর্বলতাসহ বমি, কাঁধে বেদনা ও বুকভারী বোধ হইলে এবং তৎসহ প্রস্রাবে দুগন্ধ ও প্রস্রাব স্বল্প হইলে ইহাতে উপকার হইবে। এই লণের সাথে প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। বুকে জলকমা ও বাম স্ক্যাপুলার নীচের বেদনা লক্ষণ থাকে।
হৃদরোগ সমস্যা-৮ : হৃৎপিন্ডের যান্ত্রিক রোগে হৃদকম্পন এবং শ্বাসকৃচ্ছ্রতা; এই বিষয়ে চিন্তাকালে বৃদ্ধি। অত্যন্ত বুক ধড়ফড়ানির সহিত শ্বাসকষ্ট, হৃৎপিন্ডের নিকট সকল সময়েই যেন ঝটপট করে, রাত্রিতে শুইলে বৃদ্ধি। হৃৎপিন্ডের লণ সমূহ প্রকাশ এবং স্বরলোপ ও হৃদশূলের উদ্ভব এই দুইটি অবস্থা পর্যায়ক্রমে উপস্থিত হয়। বামদিকের ফুসফুসের তীক্ষ্ম, ছুরিকা দ্বারা কর্তনবৎ বেদনা অকস্মাৎ আগমন করে এবং তৎফলে শ্বাসরুদ্ধ হইয়া যায়। হৃৎপিন্ডের অগ্র প্রদেশে বেদনা যাহা বামস্কন্ধ পর্যন্ত তীরের ন্যয় ছুটিয়া হানা দেয়।
হৃদরোগ সমস্যা-৯ : হৃদপিন্ডে কিংবা ফুসফুসে রক্ত জমিয়া বুকে বেদনা, বুক ধড়ফড়ানি, শ্বাসকষ্ট, জোরে নিঃশ্বাস লইতে কষ্ট, চলাফেরা করিলে যন্ত্রণার বৃদ্ধি প্রভৃতি উপসর্গ থাকে, উৎকণ্ঠা জনিত হৃদকম্প, হৃৎপিন্ডে গুরুত্ব অনুভব এমনকি মুর্চ্ছা, চলাফেরার হৃদকম্পের প্রাবল্য কর্তনবৎ সূচীভেদ এবং সেইজন্য সোজা হইয়া দাঁড়াইতে বা দীর্ঘ নিঃশ্বাস লইতে কষ্টকর অবস্থা, হৃৎপিন্ড হইতে বাম বাহু পর্যন্ত বেদনার সঞ্চালন এবং সেই সঙ্গে হাতের আঙ্গুলের অবশতা প্রভৃতি এই ঔষধের প্রয়োগ লণ।
হৃদরোগ সমস্যা-১০ : হৃদরোগ ও হৃদপীড়া হেতু উদরী, শোথ- হৃদপিন্ডের বৃহৎ ধমনী ও মাইট্রাল ভালভ হইতে রক্তের পশ্চাগিত। হৃদগ্র প্রদেশে বেদনা, হৃদস্পন্দন ও শ্বাসকষ্ট, রক্তাধিক্য জনিত ধমীল অবরোধ। শ্বাসকাশ। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ধীরে ধীরে চর্ েশোথের সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণ স্বল্প, সেই সাথে শ্বাসকষ্ট ও নাড়ীর অসমতা। প্রায়শই মাথার পিছনদিকে বেদনা আরম্ভ হইয়া কারনের পাশ দিয়া চু এবং পাল পর্যন্ত ছড়াইয়া পড়ে। শোথের সহিত গাড়ী ধীর গতিতে চলে।
হৃদরোগ সমস্যা-১১ : রোগীর বুকের ভিতর এক প্রকার যন্ত্রণা হয় ও মনে হয় যেন সেখানে কিছু আটকাইয়া রহিয়াছে, সেজন্য রোগী বারবার কাশে, কাশির সময় মুখ দিয়া অনবরত জল উঠে। রোগী মনে করে কেহ তাহার গলা চাপিয়া ধরিয়াছে, তাই দম বন্ধ হইয়া যাইবে। হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া ধীর তথায় তীক্ষ্ম বেদনা এবং ভারী বোধ হয়।
হৃদরোগ সমস্যা-১২ : হৃৎপিন্ডের অনিয়মিত ও উত্তেজনাপূর্ণ ক্রিয়া, গতি অসম। ইহা ছাড়া হৃদপিন্ড এত জোরে ধড়াস করিয়া চলে যে, পিঠের দিক হইতেও ঐ স্পন্দন শব্দ শোনা যায়। নাড়ী প্রথমে খুব জোরে, পরে ীণ ও ধীর হইয়া আসে।
হৃদরোগ সমস্যা-১৩ : হৃৎপিন্ড বড়ই দুর্বল, কিন্তু বাহ্রতঃ রোগীকে বেশ সুস্থ দেখায় অথচ হৃৎপিন্ডটি স্বাভাবিকভাবে কাজ করে না এবং কোনও প্রকার পরিশ্রমের কাজ করিলে বিশেষতঃ উপরদিকে উঠিলে হৃৎপিন্ডটি কাঁপিতে থাকে এবং রোগীর ঘর্ম হয়। সিঁড়ি দিয়া উপরে উঠিতে গেলে অথবা রূদ্ধ গৃহে গরম গৃহে প্রবেশ করিলে অত্যন্ত কষ্ট অনুভব হয় এবং কাশি আসে। সেই সঙ্গে কখন কখন রক্ত উঠে-বুক ধড়ফড়ানির সঙ্গে হাঁপ ও টান আসে এবং পেট সাঁটিয়া ধরে। এই সময়ে রোগী চুপচাপ করিয়া শুইয়া থাকিতে চায় কিন্তু মোটেই নিদ্রা হয় না, কেবলমাত্র তন্দ্রাভাবটি বর্তমান থাকে এবং অবস্থায় অনেক রোগীর হৃৎপিন্ডের কার্যটি হঠাৎ বন্ধ হইয়া যায়। এই প্রসঙ্গে একটি কথা মনে রাখা সঙ্গত যে, রোগী হিসাবে যদিও সমস্ত লণের ঠান্ডায় বৃদ্ধি ও গরমে উপশম হয় তথাপি হৃৎপিন্ডের এই প্রকার লণটি রোগীর থাকিতে হইবে।
হৃদরোগ সমস্যা-১৪ : হৃৎপিন্ডের ক্রিয়ার মধ্যে যেন সোরগোল হইতেছে। হৃৎপিন্ডের চারিধারে যন্ত্রনা এবং সংকোচন। সামান্য উত্তোজনায় অত্যন্ত জোরে বুক ধড়ফড়ানি। বুকের ভিতর যেন কি লাফায় বামদিকে স্তনের নিকট হাত দিয়া দেখিলেই উহা স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়, সেই সঙ্গে কানের নীচের ধমনী ও গ্রন্থি দপদপ করে। ইহা ছাড়া হৃৎপিন্ড অত্যন্ত ভারবোধ হয়, হৃৎপিন্ড টানিয়া খেঁচিয়া ধরা, হৃৎস্পন্দন প্রভৃতি এইসব সমস্যা আছে কি ?
হৃদরোগ সমস্যা-১৫ : রোগীর যে কোনও প্রকার তরুণ উপসর্গের সহিত হৃদযন্ত্রে ক্রমাগত সুঁচ ফোটানবৎ একপ্রকার বেদনা থাকে এবং সেজন্য তাহার প্রায়শই হৃদস্পন্দন হইতে দেখা যায়। হৃদ বরণীয় পরদার প্রদাহ, এই পীড়া বাত জনিত হলে এর সাথে বুক ধড়ফড়ানি আছে কি ?
হৃদরোগ সমস্যা-১৬ : অর্নিয়মিত, মন্থর গতি বিশিষ্ট এবং কম্পমান নাড়ী। স্পন্দন শীলতা, হৃৎশল। বামদিকের বাহু অসাড়, মনে হয় যেন তাহা বাম পার্শ্বে আবদ্ধ রহিয়াছে। হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া হঠাৎ বন্ধ হইয়া যায়, আসন্ন শ্বাসরোধ, বামদিকের স্তনের ভিতর ও নিম্নে বেদনা থাকে।
হৃদরোগ সমস্যা-১৭ : উপরে উঠিতে গেলে হৃদপিন্ডে ব্যথা হয়। বুকে হঠাৎ খিল ধরে, হাত পা অসাড় বোধ। অত্যন্ত বুক ধড়ফড়ানি ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কি আপনার ?
হৃদরোগ সমস্যা-১৮ : হৃদস্পন্দন অনিয়মিত ও প্রবল। বিশেষতঃ অত্যাধিক আনন্দ অথবা আর্কস্মিক বিস্ময় হেতু মন উত্তোজিত হয় ও বুক ধড়ফড় করে কি ?
হৃদরোগ সমস্যা-১৯ : চোখের পাতার স্নায়ূশূল বেদনা, ডান চুর ভিতর বেদনা এবং অন্ধকার ও অস্বচ্ছদৃষ্টি। ডানচুতে কেবলমাত্র একটা আলোক চকচক করিতেছে এইরূপ দর্শন। চুগুলি মনে হয় যেন বড় হইয়া গিয়াছে এবং ঠেলিয়া বাহির হইতেছে। সঙ্গে হৃদরোগের সমস্যায় রয়েছে এই লণ আছে কি ?
হৃদরোগ সমস্যা-২০ : মনে হয় যেন হৃৎপিন্ড সমগ্র বঃস্থলের উপর স্পন্দিত হইয়াছিল। হৃৎগহ্বর পরিবেষ্ট ঝিল্লী প্রদাহ এবং তৎসহ শায়িত অবস্থায় অত্যাধিক শ্বাসকৃচ্ছ্রতা। এইরূপ অনুভূতি হয় সেন হৃৎপিন্ডের স্পন্দন থামিয়া গেল এবং তাহার পর যেন অকস্মাৎ ইহার ক্রিয়া চালু হইল। যৎসামান্য পরিশ্রমে হৃৎকম্পন। ধূমপানাক্রান্ত হৃৎপিন্ড, বিশেষতঃ যখন সিগারেটই হইল ইহার কারন হৃৎশূল।
হৃদরোগ সমস্যা-২১ : ডানদিকের নিম্নভাগের পঞ্জরগুলিতে সূচীভেদ্যবৎ বেদনা, নড়াচড়া এবং ভ্রমণে বৃদ্ধি। বস্থলের এই বেদনা স্কন্ধ, পৃষ্ঠ, কটিদেশ এবং তলপেট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, তৎসহ প্রস্রাবের বেগ। হাঁপানির ন্যায় শ্বাস-প্রশ্বাস।
হৃদরোগ সমস্যা-২২ : রোগী যেন দমবন্ধ হইয়া মূর্চ্ছার মত হইয়া পড়ে, ঘর্মের সহিত নাগীর গতির হ্রাস হয়। রোগী বামপার্শ্বে শয়ন করিতে কষ্ট হয়, বুক ধড়ফড় করে। রোগী মনে করে কি একটি ভারী জিনিস তাহার হৃৎপিন্ডের উপর চাপানো আছে, তাহার বুক যেন কেহ একবার জোরে মুঠা করিয়া চাপিতেছে এবং আবার ছাড়িয়া দিতেছে। বুকে কাপড় রাখিলে ও সেখানে বেদনাবোধ হয়। উক্ত প্রকার হৃৎপিন্ডের লণসহ হৃৎপিন্ডের শোথ এবং তৎসহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মোধ, কষ্টকর শ্বাস প্রশ্বাস প্রভূতি লণ।
হৃদরোগ সমস্যা-২৩ : হৃদপিন্ড প্রদেশে বেদনা এবং সংকোচন, শ্বাসরুদ্ধবৎ অনুভূতি, হৃদকম্পন, বুকের উপর ভারীবোধ এবং দপদপানি মোটা স্ত্রীলোকদের ঋতুবন্ধের বয়সে বিশেষতঃ ৪৫ বৎসরের বেশী বয়স্কা স্ত্রীলোকদের সামান্য একটুমাত্র মানসিক উত্তেজনাতেই বুক ধড় ফড় করা শ্বাসকৃচ্ছ্রতা প্রভৃতি লণ।
হৃদরোগ সমস্যা-২৪ : হৃদরোগের সহিত বামহস্তে ঝিনঝিনি বেদনা। বাতে হৃৎপিন্ডর আক্রান্ত হইলে। হৃদরোগে হৃৎপিন্ডে অত্যন্ত যন্ত্রনাদায়ক বেদনা, এমনকি মনে হয় নিঃশ্বাস বন্ধ হইয়া যাাইবে। আর বুক হইতে কখন কখন পেটে বা পাকস্থলীতে বেদনা নিম্নগামী হইয়া বিস্তৃত হয়। বাত রোগের পর হৃৎকপাটের পীড়া হইলে কিংবা কোন বাহ্যিক ঔষধ প্রয়োগে বাত রোগ আরোগ্য হইবার পর হৃৎপিন্ডের পীড়া হইলে অথবা একবার বাত একবার হৃৎপিন্ডের পীড়া হইলে। নাড়ী অত্যন্ত ীণ, মিনিটে ৩০/৪০ বারের বেশী হয় না। অনেক সময় হাতেই পাওয়া যায় না। রোগীর পদদ্বয় শীতল এবং মুখ বিবর্ন।
হৃদরোগ সমস্যা-২৫ : বাত সঙ্কুত এণ্ডোকার্ডাইটিস ও পেরিকার্ডাইপিস রোগ এবং ইহা ছাড়া হৃৎপিন্ডকে যেন কেহ চাপিয়া ধরে, সেইজন্য দম আটকাইয়া যায় এবং নিদ্রা ভাঙ্গিয়া বিছানা হইতে উঠিয়া রোগীকে বেড়াইতে হয়।
হৃদরোগ সমস্যা-২৬ : রাত্রে নিদ্রায় রোগীর মনে হয়, যেন অকস্মাৎ কেহ হৃৎপিন্ড চাপিয়া ধরিয়াছে। সেইজন্য শ্বাস বন্ধ হইয়া যাইতেছে ও তজ্জন্য বিছানা হইতে উঠিয়া বেড়াইতে বাধ্য হয়।
হৃদরোগ সমস্যা-২৭ : হৃৎপিন্ডে প্রদেশে ঠান্ডা ভাব। অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট, রোগী হাঁইপাঁই করে। সমস্ত শরীর তাড়াতাড়ি ফুলিয়া উঠে। নাড়ী দুর্বল, সুতার ন্যায়। হৃদপ্রদেশে সূচীভেদ্য বেদনা ও হৃদস্পন্দন প্রাতে বুকে বেদনাসহ অত্যন্ত কাশি। গয়ারের সহিত রক্ত উঠে।
হৃদরোগ সমস্যা-২৮ : উপরে উঠিতে গেলে হৃদপিন্ডে ব্যথা হয়। বুকে হঠাৎ খিল ধরে, হাত পা অসাড় বোধ। শক্তিকৃত ঔষধ সেবনে হৃদপিন্ডের দুর্বলতা দূর হয়। অত্যন্ত বুক ধড়ফড়ানি ও শ্বাসকষ্ট হয়।
হৃদরোগ সমস্যা- ২৯ : হৃদপিন্ড সহজ প্রকারের বিবৃদ্ধি, হৃৎপিন্ড সম্বন্ধে অনবরত চিন্তা, বিমর্ষতা, অপ্রফুল্লতা। হৃপ্রদেশে একপ্রকার বেদনা তাহা গাঢ়, পিঠ কাঁধ ও বাহুতে পর্যন্ত পরিচালিত হয়, স্নাযবিক হৃৎকম্পন তাহাতে কখনও বোধ হয় যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হইয়া আসিতেছে, কথা বলিতে পারে না। হৃৎপিন্ডের পীড়ার সহিত কাশি এবং শ্বাসকৃচ্ছ্রতা, হৃৎপিন্ডের স্থানে সূঁচফোটান ব্যথা, নাড়ীর বেগ অসম, কিন্তু উহার গতি সমান। ডিপথেরিয়া হৃৎপিন্ডের ক্রিয়ালোপের উপক্রম, বাম ডিম্বকোষ হইতে হৃদপিন্ডে ব্যথা। মনে হয় যেন ডিম্বকোষ ও হৃদপিন্ড স্ক্রু দিয়া আটকাইয়া আছে।
ডিপথেরিয়া আরোগ্য হইবার পর হৎপিন্ডে পাঘাত হইবার উপক্রম, চেহারা নীলবর্ণ হয়, শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টের নিমিত্ত আঁকুপাঁকু করে, নাড়ী সবিরাম ও দুর্বল হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের হৃৎপিন্ডের যান্ত্রিক পীড়ায়।
হৃদরোগ সমস্যা-৩১ : পুরাতন হৃদপিন্ড পীড়া, তৎসহ অতিশয় দুর্বলতা, হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া অনিয়মিত ও অতিশয় দুর্বল এবং হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া বন্ধ হইবার উপক্রম হয়। যাহাদের অতি সামান্য পরিশ্রমে অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট হয়, কিন্তু নাড়ীর গতি ততটা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় না এবং উপরোক্ত লণসমূহ দৃষ্ট হয়। হৃদপিন্ডের বিবৃদ্ধি, হৃদপিন্ডের পীড়াজনিত শোথ, হৃদশূল এবং হৃৎপিন্ডের দুর্বলতায় আছে।
হৃদরোগ সমস্যা-৩২ : হৃৎপিন্ডের পীড়ায় রোগী ঘুমাইতে হঠাৎ যেন শ্বাসবন্ধের উপক্রম হয়, তজ্জন্য ধড়ফড় করিয়া উঠিয়া পড়ে এবং নিঃশ্বাস ফেলিবার জন্য আঁকুপাঁকু করে।
হৃদরোগ সমস্যা-৩৩ : যে সকল পীড়ায় প্রথমে হৃৎপিন্ড আত্রান্ত হয়, নাড়ী ধীরগতি বিশিষ্ট, অনিয়মিত, দুর্বল ও সবিরাম হয় অর্থাৎ ৩য়, ৫ম, ৭, স্পন্দ হয় না এবং শোথ লণ প্রকাশ পায়। হৃৎপিন্ডের পীড়াসহ অতিশয় দুর্বলতা, ভূর্মি যাওয়ার মত হওয়া, চর্স্ম, চরে পাতা, ওষ্ঠ, জিহ্বা, নখগুলি নীলবর্ণ হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত ও কষ্টকর, পাকস্থলী খালি খালি বোধ, বস্থলে অস্বস্তিবোধ ইত্যাদি লণ থাকে। ধাতুদৌর্বল্য রোগে হৃৎপিন্ডের লণ নিদ্রিত অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে যেখানে দেখিতেন পাইবেন, নাড়ী অতি ধীরে চলিতে চলিতে মাঝে মাঝে দ্রুতগতি বিশিষ্ট হয়।
হৃদরোগ সমস্যা-৩৪ : দ্রুতনাড়ী। বে উদ্বেগ বোধ, যেন বদেশ সংকুচিত হইয়া পড়িযাছে। সামান্র পরিশ্রমে বুক ধড়ফড়ানি। হৃদপিন্ডে প্রবল ব্যথা। গলগন্ড সহ হৃদপিন্ডের ধড়ফড়ানি যেন হাতুড়ি পিটাইতেছে।
হৃদরোগ সমস্যা-৩৫ : হৃদপিন্ডের অবসন্নতা।
হৃদরোগ সমস্যা-৩৬ : রোগী হৃৎপিন্ডটিকে অত্যন্ত দুর্বল মনে করে, শুইলে বিশেষতঃ বামদিকে চাপিয়া শুইলে বুক ধড়ফড়ানি ও দুর্বলতা যেন আরও বৃদ্ধি হয়, হাত পা অসাড় ও ঠান্ডা হয়, হৃৎপিন্ড কখনও কখনও অত্যন্ত জোরে স্পন্তিত হয়, তাহাতে সমস্ত শরীর যেন কাঁপিয়া উঠে। হৃৎপিন্ডের ভিতর যেন পাখীর মত ঝটপট করে হৃৎপিন্ডের আঘাত অসমান ও মধ্যলোপী- অর্থাৎ চলিতে চলিতে মধ্যে মধ্যে এক একবার থামিয়া যায়। নড়াচড়ায় বৃদ্ধি পায়। রোগীর শরীরে শীত ভাব বেশি থাকে।
হৃদরোগ সমস্যা-৩৭ : সাধারণ বুক ধড়ফড়ানিতে, হঠাৎ বুকের রক্ত সঞ্চালিত হইয়া বুক ধড়ফড় করিলে এবং ফ্যাটি ডিজিন্যারেশান অব.দি হার্ট পীড়ায়। মনের আবেগের জন্য বুক ধড়ফড়ানি, চেনা বা অচেনা কোন লোককে ঘরে ঢুকিয়ে দেখিয়া বুক ধড়ফড় করিলে ইহা ফলপ্রদ। যখন হৃদযন্ত্রের ডান অংশ বেশী আক্রান্ত হয়।
হৃদরোগ সমস্যা- ৩৮ : সাংঘাতিক ধরণের বুক ধড়ফড়ানি, মনে হয় যেন এখনই মৃত্যু হইবে। হৃৎপীড়ার শেষ অবস্থায় রোগীর নাড়ী পাওয়া যায় না।
হৃদরোগ সমস্যা-৩৯ : হৃদপিন্ডের পীড়ার সহিত ডান হাত যেন অসাড় ও আড়ষ্ট হয়, তৎসহ দুর্ব্বলতা, কোমল ও সবিরাম নাড়ী।
হৃদরোগ সমস্যা-৪০ : হৃদযন্ত্রটির দ্রুত স্পন্দন উল্লেখযোগ্য এবং ইহার বিশেষত্ব এই যে, বিশ্রামের সময় স্পন্দনের বৃদ্ধি, সঞ্চালনে উপশম। রোগীকে সঞ্চালিত হইতেই হইবে, নতুবা রা নাই। একটা কিছু করাই চাই, কোনও কিছু আবশ্যক বা অনাবশ্যক কার্যে তাহাকে নিযুক্ত হইয়া থাকাই চাই নতুবা স্পন্দনটি বাড়িবে। রোগী বা রোগীনি নিদ্রার মধ্যে আছেন অথবা কোনও প্রকার বিশ্রামসুখ ভোগ করিতেছেন অর্থাৎ সঞ্চালনটি নিবৃত্ত হইয়াছে এইরূপ অবস্থায় হঠাৎ যেন বিদ্যুৎ চমকের মত কে তাঁহাকে একটি নাড়া দেয়, একটি ঝাঁকি দেয়-তখনই তিনি চমকিয়া উঠেন। নিদ্রার মধ্যেই ইহা অধিক সময় অনুভুত হয় এবং রোগিনীর যে কি কষ্ট হয় তাহা বলা যায় না। বাধ্য হইয়া তখনই উঠিয়া গিয়া কোন না কোন কার্য করিতে চায়।
হৃদরোগ সমস্যা-৪১ : হৃদযন্ত্রটির দ্রুত উল্লেখযোগ্য এবং ইহার বিশেষত্ব এই যে, বিশ্রামের সময় স্পন্দনের বৃদ্ধি, সঞ্চালনে উপশম। রোগীকে সঞ্চালিত হইতেই হইবে, নতুবা রা নাই। একটা কিছু করাই চাই, কোনও কিছু আবশ্যক বা অনাবশক কার্যে তাহাকে নিযুক্ত হইয়া থাকাই চাই নতুবা স্পন্দনটি বাড়িবে।
হৃদরোগ সমস্যা-৪২ : হৃদপিন্ডের বাহিরের আবরণের প্রদাহ, হৃদশূল বেদনা, হৃদপিন্ডের ভিতরের রক্ত চলাচলের রাস্তায় পীড়া। বঃস্থল ভারবোধ, তৎসহ ফুসফুসগুলি প্রসারিত করার খিলধরার মত বেদনা, হৃদপিন্ড যেন স্পন্দনবিহীন, এইরূপ অনুভব। পায়ে চুলকানি, শ্বাসবন্ধের মত ভাব।
হৃদরোগ সমস্যা-৪৩ : ব্যায়ামদির ও ভারোত্তোলনকারী ব্যক্তিদের মধ্যেই সাধারণতঃ ইহার সমলণযুক্ত হৃৎযন্ত্রের দুর্ব্বলতা আবির্ভূত হয়। জলে ভিজিভার দরুন কিংবা অতিরিক্ত পরিশ্রম করিবার দরুনও হৃৎপিন্ডের পীড়া হইতে পারে। হৃৎপিন্ড দুর্বল, কম্পনশীল, তৎসহ হৃৎস্পন্দন, চুপ করিয়া বসিয়া থাকিলে ভয়ানক বুক ধড়পড় করা, দপ-দপানিতে সমুদয়া দেহ নাড়িয়া উঠে, প্রাতঃকালে জাগিয়া উঠিলে উৎকণ্ঠাপূর্ন হৃৎস্পন্দন। মনে হয় যেন পরিশ্রমে হৃৎপিন্ডের পেশীগুলিতে চাঁড় লাগে, অতি পরিশ্রমে হেতু হৃৎপিন্ডের অতিবৃদ্ধি। হৃদপিন্ডের পীড়ার সহিত বাম হস্ত ও বাম স্বন্ধদেশ অবশ ও অসাড় বোধ হয়।
হৃদরোগ সমস্যা-৪৪ : অতিরিক্ত শ্রম, বাত, শারীরিক ধাতুগত, দুর্বলতা বা তামাক বা অন কোন উত্তেজক দ্রব্য সেবন হেতু পীড়ায়, স্নায়ুবিক উপদাহ বা যান্ত্রিক পীড়া হেতু হৃদপিন্ড ধড়ফড় করিলে ও সেই সঙ্গে তীর বেঁধার মত ব্যথা থাকে।
হৃদরোগ সমস্যা-৪৫ : হৃৎপিন্ডের পীড়ায়, নিদ্রার পর বা নিদ্রার উপক্রমে যদি শ্বাসকৃচ্ছ্রতা হয় এবং রোগী মনে করে যে, হৃৎপিন্ড যেন চাপিয়া ধরিয়া রাখিয়াছে, ঘুম আসিলেই কিংবা ঘুম ভাঙ্গিাবার পর এই লণটি অধিক হয়। এই সঙ্গে হৃৎস্পন্দন ও বে ফোটান ও বেঁধানোর মত ব্যথা প্রায়ই থাকে।
হৃদরোগ সমস্যা-৪৬ : জরায়ুর কোন পীড়ার সহিত হৃৎপিন্ডে সুঁচ ফোটনা ব্যথা, বুক ধড়ফড়ানি, হৃৎপিন্ড একবার মুঠা করিয়া ধরিতেছে, আবার ছাড়িয়া দিতেছে এই সকল লণ থাকে, সমস্ত শরীরে স্পন্দন, রোগী মনে করে যেন হৃৎপিন্ড ও তাহার সমস্ত শরীরের শিরাগুলি রক্তে পরিপূর্ণ হইয়া ফুলিয়া উঠিয়াছে এবং যেন তাহা ফাটিয়া রক্ত বাহির হইয়া যাইবে। হৃৎপিন্ডের চারিদিকে ঠান্ডা ও বুকে ভারী ও চাপবোধ। গরম ও লোকজন পূর্ণ ঘরে দম বন্ধের উপক্রম।
হৃদরোগ সমস্যা-৪৭ : হৃদপ্রদেশে আমবাতিক বেদনা। হৃদপিন্ড অকস্মাৎ ঝাঁকি দিয়া উঠে। সামনে দিকে ঝুঁকিলে ও প্রস্রাবের সময় হৃদপিন্ডে অত্যন্ত বেদনা বোধ। প্রস্রাবের পর ব্যথার উপশম।
হৃদরোগ সমস্যা-৪৮ : হৃৎপিন্ডের যান্ত্রিক দোষ, চিৎ হইয়া শুইলে মাথা খুব উচু করিয়া না দিয়া শুইতে পারে না। হৃৎপিন্ড খুব জোরে জোরে ধড়ফড় করে, সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকে, রোগী শুইতে পারে না। বুকে বেদনা হইয়া ও দমবন্ধের উপক্রম হইয়া দুপুর রাত্রের পর ঘুম ভাঙ্গিয়া যায় এবং উৎকণ্ঠায় অত্যন্ত অস্থির হয় এবং জোরে জোরে কাশিতে থাকে। হৃৎপিন্ডের পীড়ায় প্রায়ই এই প্রকার অবস্থা হইয়া থাকে।
হৃদরোগ সমস্যা-৪৯ : বুক ধড়ফড় করে, সেই সঙ্গে বুক যেন থর থর করিয়া কাঁপে, মনে হয় হৃৎপিন্ডের গতি বন্ধ হইয়া যাইবে।