Evergreen Homoeo Home Service Bangladesh

  • হোম
  • আমাদের সম্পর্কে
  • বাংলা ফরম
  • ইংরেজি ফরম
  • রোগ পরীক্ষা
    • ক্যান্সার
    • ডায়াবেটিকস
    • থ্যালাসামিয়া
    • হার্টব্লক
    • বাত ও বাতজ্বর
    • কিডনীর সমস্যা
    • যৌন সমস্যা
  • রোগ সমুহ
  • মহিলা ও শিশু রোগ
    • শিশু রোগ
    • মহিলা রোগ
  • যৌন রোগ
  • হাসপাতাল তালিকা
  • ডাক্তারদের তালিকা
  • রোগীর মতামত
  • যোগাযোগ

এখানে সকল প্রকার ক্যন্সার, থ্যালাসেমিয়া, হার্ট ব্লক, ডায়াবেটিস,বাত ও বাতজ্বর এবং যৌন রোগের চিকিৎসা করা হয়। এছাড়াও হোম সার্ভিসের মাধ্যমে পুরুষ/ মহিলা ও শিশুদের রোগের চিকিৎসা করা হয়। ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা নিতে ফোন করে আপনার রোগের বিস্তারিত জানান ০১৭১৬-৬০৬৩৫৫ অথবা ০১৯১৭-২১১২৫৯ এই নাম্বারে। অথবা ওয়েব পেজে ফরম পুরন করে সাবমিটে ক্লিক করুন। আপনার ঘরে ঔষধ পৌঁছে যাবে। প্রায় অর্ধশত দেশী-বিদেশী ডিগ্রীধারী অভিজ্ঞ পরামর্শক চিকিৎসক দ্বারা এভারগ্রীন হোমিও হোম সার্ভিস পরিচালিত। সরাসরি যোগাযোগঃ ৫ম তলা,২৪-২৫,দিলকুশা বা/এ,মতিঝিল,ঢাকা-১০০০ ।

বাত ও বাতজ্বর

বাত :

Arthrite_rhumatoide

বাত ( Arthritis) (গ্রীক arthro – ,সন্ধি + –itis, প্রদাহ) হল মূলত অস্থিসন্ধির প্রদাহ যা এক বা একাধিক অস্থি সন্ধিকে আক্রান্ত করে। এটা শিল্পোন্নত দেশে ৫০-৫৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের মানুষের অক্ষমতা মূল কারণ।

বাত (আর্থ্রাইটিস) কথাটি ব্যাপক অর্থবহ এবং বহুদূর পর্যন্ত প্রসারিত। এটি একটিমাত্র রোগ নয় বরং একই পরিবারভুক্ত অনেকগুলো রোগের সমষ্টি। প্রায় ১০০টি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে হয় বাতরোগ। এই রোগে প্রধানত অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হলেও হাড়ের প্রদাহ, ক্ষয় রোগ, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা,মেরুদণ্ডের প্রদাহ, ক্ষয়, আড়ষ্ঠতা এগুলোও বাতরোগের পর্যায়ে পরে।

প্রকারভেদ

নিম্নোলিখিত রোগগুলোই সাধারণত একত্রিত হয়ে বাতরোগ গঠিত হয়ঃ

  1.  সন্ধিবাত/গাঁট – ফোলানো বাত (Rheumatoid Arthritis)
  2. অষ্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)/অস্থিসংযোগ গ্রন্থি প্রদাহ
  3.  গেটেবাত (Gout)
  4.  কটিবাত বা কোমর প্রদাহ (Lumbago)
  5. মেরুদণ্ড প্রদাহ বা স্পন্ডিলাইটিস (Spondylitis)
  6. সায়াটিকা/কোটি স্নায়ুশূল(Sciatica)
  7. আমবাত/ আর্টিকেরিয়া/এলারজি(Urticaria)
  8. বাতজর (Rheumatic Fever)
  9. সংক্রামক বাত/সেপটিক আর্থ্রাইটিস

এছাড়াও ঘাড়ের বাত(Stiff Neck), স্কন্ধবাত  (Omalgia), পার্শ্বাত  (Pleurodynia) এগুলোও বাত রোগের আওতার মধ্যে পরে।

 

বাতব্যাধির কারন ও ঝুকিসমূহ

বাতব্যাধির প্রকৃত কারন উদ্ঘাটন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কষ্টসাধ্য। কেননা অনেকগুলো কারনে এই রোগসমূহের উদ্ভব হতে পারে। তবে নিম্নোক্ত কারনসমূহ বাত রোগের ঝুকি বাড়ায়ঃ

  1. আঘাত (Trauma or Injury): পূর্ববর্তী বড় ধরনের কোন আঘাত বাতের কারণেরর অংশ হতে পারে।
  2. অপুষ্টি (Malnutrition): প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের অভাব বিশেষতঃ ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি।
  3. বয়সঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তরুণাস্থি ভঙ্গুর হয়ে পরে এবং এর পুনর্গঠনের ক্ষমতাও কমে যায়। তাই বয়স বাড়ার সাথে বাত রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বাড়ে।
  4. অতিরিক্ত ওজনঃ অস্থিসন্ধি ক্ষয় খানিকটা শরীরের বাড়তি ওজনের সম্পর্কিত। অতিরিক্ত ওজন জয়েন্টগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ স্থাপন করে। তাই স্থূলকায় ব্যাক্তিরা সাধারনত বাতরোগে বেশি ভুগে থাকেন।
  5. ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণঃ কতিপয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ যেমন ক্লিবসেলা (klebsiella) ও এলার্জি স্বল্পমেয়াদী বাতব্যথার উদ্ভব ঘটাতে পারে। সংক্রমণের কারণে সংঘটিত বাতরোগকে রিএকটিভ আর্থ্রাইটিস (Reactive arthritis) বলে।
  6. বংশগতি (Genetics): বাতরোগে বংশগতির প্রকৃত ভূমিকা কি তা এখন জানা সম্ভব হয় নি। তবে এতে বংশগতির যে সুস্পষ্ট প্রভাব আছে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা একমত।

লক্ষণ ও উপসর্গ

যদিও বাত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, সব বাত রোগের সাধারণ উপসর্গ হল বিভিন্ন মাত্রার ব্যথা, অস্থি-সন্ধির ফোলা , শক্ত হয়ে যাওয়া, আড়ষ্টতা এবং গিঁঠের চারপাশে স্থায়ী যন্ত্রণা। অন্যান্য উপসর্গসমূহ হলঃ

  1. হাত ব্যাবহারে অক্ষমতা,
  2. হাটতে অক্ষমতা,
  3. অস্বাচ্ছন্দ্য এবং গ্লানি বোধ,
  4. ওজন কমে যাওয়্‌
  5. পেশীর ব্যথা ও দুর্বলতা,
  6. পরিমিত ঘুম না হওয়া।

রোগতত্ত্ব

অস্থিসন্ধি (bone Joint) হল দুটি হাড়ের যুগ্ন অবস্থান। এটি দুই ধরনের হতে পারে।

  1. অচল বা সামান্য সঞ্চালনক্ষম অস্থিসন্ধি/গহব্বরশূন্য অস্থিসন্ধি
  2. সঞ্চালনক্ষম অস্থিসন্ধি/সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি/ গহব্বরযুক্ত অস্থিসন্ধি

শরীরের ভিতরের সচল অস্থিসন্ধিসমূহে যেমন হাত পায়ের আঙ্গুল,হাঁটু, কব্জি, গোড়ালি ইত্যাদিতে যে হাড়দ্বয় যুক্ত থাকে তাদের যুক্তপ্রান্তে তরুনাস্থি(Cartilage) থাকে। এই তরুনাস্থি হাড়দ্বয়ের সঞ্চালনজনিত ঘর্ষণ প্রতিহত করে। ফলে দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক অস্থিসন্ধি সঞ্চালন হয় বেদনাহীন। কোন কারনে তরুনাস্থির অবক্ষয় হলে তা অস্থিসন্ধির সঞ্চালনে যন্ত্রণা সৃষ্টি করে।

এই অস্থিসন্ধিগুলো আবার এক বিশেষ ধরনের ঝিল্লীদ্বারা আবৃত থাকে এবং অন্তঃস্থ অংশটি ঝিল্লীর রস বা সাইনোভিয়াতে পরিপূর্ণ থাকে। এই রস অস্থি, তরুনাস্থির পুষ্টি যোগায়। আর লিগামেন্ট মাংসপেশীর সাথে অস্থিগুলোকে সংযুক্ত করে। বাত রোগে এই ঝিল্লী, ঝিল্লীর রস, লিগামেন্টও বিভিন্নভাবে যেমন শরীরের প্রতিরক্ষা উপাদান, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে।

 বাতজ্বর :

5.-Batjor

বাতজ্বর বা রিউমাটিক ফিভার এক ধরনের ইনফ্লামেটরি ডিজিজ। গ্রুপ ‘এ’ হিমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোককাস ব্যাক্টেরিয়া থেকে স্কারলেট ফিভার বা স্ট্রেপ থ্রোট জাতীয় ইনফেকশন হয় যার থেকে রিউম্যাটিক ফিভার হতে পারে। এটি পাঁচ থেকে ১৫ বছরের শিশুদেরই বেশি হয়ে থাকে। বাতজ্বর থেকে পরে হূদরাগ, হূদ্যন্ত্রের ভালভ নষ্ট হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে বলে অভিভাবকেরা রোগটি নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। শিশুদের গিঁটে ব্যথা হলে অনেক সময় বাতজ্বর হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এ ধরনের উপসর্গে শিশুর রক্তে ইএসআর, এএসও টাইটার ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। এএসও টাইটার একটু বেশি পেলেই অনেক সময় বাতজ্বরের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া হয়।

কিন্তু এ রোগ নির্ণয়ের সময় কিছু জরুরি বিষয় চিকিৎসক ও অভিভাবক—উভয়েরই মনে রাখা উচিত :-
১. কেবল এএসও টাইটার বাড়লেই বাতজ্বর হয়েছে তা বলা যাবে না। আবার এ রিপোর্ট স্বাভাবিক, মানে বাতজ্বর নেই তা-ও বলা যায় না। বাতজ্বরের অনেকগুলো সুস্পষ্ট উপসর্গ ও লক্ষণ রয়েছে, যেগুলোর সমন্বয়ে রোগটি নির্ণয় করতে হয়।
২. স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে টনসিল বা গলার প্রদাহ হলে রক্তে এএসও টাইটার বাড়ে। যেকোনো নিরীহ টনসিল সংক্রমণেই এ পরীক্ষার রিপোর্ট অস্বাভাবিক আসতে পারে। তাই এটি বাতজ্বরের কোনো নিশ্চিত ও একমাত্র প্রমাণ নয়।
৩. বাতজ্বরে গলা, পিঠ, হাত ও পায়ের ছোট ছোট গিরা আক্রান্ত হয় না।
৪. ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে হূৎপিণ্ডে প্রদাহ হয় না।
বাতজ্বর নির্ণয় করা হলে একটি শিশুকে দীর্ঘদিন বছরের পর বছর পেনিসিলিন ইনজেকশন বা বড়ি সেবন করতে হয়। তাই চট করে চিকিৎসা শুরু করার আগে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেওয়াই ভালো। এবার জেনে নিন বাতজ্বরের মুখ্য ও গৌণ উপসর্গগুলো, যার সমন্বয়ে রোগ নির্ণয়ে পৌঁছাতে হয়।

প্রধান উপসর্গসমূহ :-
১. অস্থিসন্ধির প্রদাহজনিত ব্যথা ও ফুলে যাওয়া, যা একটি সন্ধি ভালো হয়ে গেলে অন্যটিকে আক্রমণ করে
২. হূৎপিণ্ডের প্রদাহ বা কার্ডাইটিস
৩. ত্বকের নিচে গোটা, ত্বকের লালচে দাগ
৪. স্নায়ুজটিলতায় পেশির অস্বাভাবিক চলন

গৌণ উপসর্গসমূহ :-
জ্বর, সন্ধিতে ব্যথা, ইসিজিতে বিশেষ পরিবর্তন, রক্তে ইএসআর বা সিআরপি বৃদ্ধি ইত্যাদি।

সম্ভাব্য জটিলতা:-
যদি ঠিকমত রোগ নির্ণয় না হয় তাহলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হার্টের ভালভ নষ্ট হয়ে গিয়ে নানা উপসর্গ যেমন বুকে ব্যথা, এমনকি হার্ট ফেলও হতে পারে। অনেক সময় কিডনি আক্রান্ত হয়ে কিডনি ফেলও হয়। পরবর্তীকালে চলাচলজনিত সমস্যাও হতে পারে। হাত-পা এবং শরীর কাঁপতে থাকে। এই সমস্যাকে সিডেনহ্যাম কোরিয়া বলা হয়।

Share this:

  • Facebook
  • Twitter
  • Reddit
  • LinkedIn
  • Pinterest
  • Pocket

Like Us On Facebook

Facebook Pagelike Widget

Copyright © ·http://www.eghhsbd.com|Design by:Karjohnkamal|Powered by:Codesktechnology L.T.D|Phone:+8801971626224